সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি এলাকায় নিহত যুবক শুভর মা রেনু আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯ জুলাই ধানমন্ডি থানার ৩ নম্বর রোডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তার ছেলে শুভ গুলিবিদ্ধ হন, যার ফলে পরের দিন তিনি হাসপাতালে মারা যান। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক খান, চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, এবং নূর আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী।
এছাড়া, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুলক হক খান দোলনও এই মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এই ঘটনায় মামলাটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং তদন্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখন দেশের মানুষের নজরকাড়া বিষয় হয়ে উঠেছে।