মমতাজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা যে কোন সময় গ্রেফতার

ছবি: সাবেক এম.পি মমতাজ

প্রায় এক দশক আগের একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বুধবার (১০ অক্টোবর) মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল দে'র আদালতে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি মমতাজসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। মামলাটি করেন নিহতদের একজন, মাওলানা নাসির উদ্দিনের ভাই মো. শহিদুল ইসলাম। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ৫২ জন নেতা-কর্মী ও ৩৮ জন পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সিঙ্গাইর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মীর মো. শাহজাহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বলধরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান ওরফে ভিপি শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, সিঙ্গাইর পৌর মেয়র আবু নঈম মো. বাশারসহ আরও অনেকে।

পুলিশ সদস্যদের মধ্যে নাম রয়েছে তৎকালীন মানিকগঞ্জ সদরের সার্কেল অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলমসহ ৩৮ জনের।

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ২৪ ফেব্রুয়ারি গোবিন্দল গ্রামের মুসল্লিরা একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন, যা গোবিন্দল বাজারের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এ সময় আগে থেকেই উপস্থিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কর্মী এবং পুলিশ বাহিনী মিছিলে গুলি চালায়। এতে মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দিন ও শাহ আলম নিহত হন এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।

এ বিষয়ে সাবেক এমপি ও সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সিঙ্গাইর থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা পেলে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post