অভিজ্ঞতা ২
প্রশ্ন-১. ই-মেইল কাকে বলে? এর দুটি সুবিধা লেখো ১+১=২
উত্তর: ই-মেইল-এর পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক মেইল। অনলাইন বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে যে বার্তা, ডকুমেন্ট, চিঠিপত্র ইত্যাদি আদান-প্রদান করা হয় তাকে ই-মেইল বলে।
সুবিধা: ই-মেইলের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য দ্রুত সময়ে বিশ্বের একপ্রাপ্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাঠানো যায়। ই-মেইলে কোনো ফাইল সংযুক্তির জন্য এটাচমেন্ট অপশন থাকে, যার মাধ্যমে বিভিন্ন ফাইল, ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, - ছবি, পাওযারপয়েন্ট ফাইল ইত্যাদি এক মুহূর্তে এক ডিভাইস থেকে - অন্য ডিভাইসে পাঠানো যায়।
প্রশ্ন-২. ই-মেইলের মাধ্যমে ফিশিং কার্যক্রম এর সম্পর্ক কী? ২
উত্তর: ই-মেইলের ফিশিং করার জন্য প্রতারক চক্র স্প্যাম (অবাঞ্ছিত ই-মেইলে) ব্যবহার করে থাকে। প্রতারক চক্র ব্যবহারকারীর পরিচিত কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুরূপ ভুয়া ওয়েবপেইজ তৈরি করে তার মেইলে পেইজটির লিংক পাঠায়। ব্যবহারকারী সেটাকে সঠিক ওয়েবপেইজ ভেবে তা ওপেন করে এবং পেইজের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করে, যা প্রতারক চক্রের কাছে চলে যায়। এভাবে ই-মেইলের মাধ্যমে ফিশিং কার্যকর হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৩. ওয়েব ঠিকানা বা ওয়েব অ্যাড্রেস জানার প্রয়োজনীয়তা কী? ২
উত্তর: একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হলে প্রথমে ওয়েবসাইটটির ঠিকানা বা ওয়েব অ্যাড্রেস জানতে হয়। ওয়েব অ্যাড্রেস না জানলে যেকোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় না। প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা থাকে। অর্থাৎ ওয়েব অ্যাড্রেস ইউনিক বা অদ্বিতীয় হয়ে থাকে। মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউজারে গিয়ে অ্যাড্রেস বারে কোনো ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস লিখে এন্টার দিলে সেই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করা যাবে। যেমন- বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটের ওয়েব অ্যাড্রেস হলো- www.nctb.gov.bd।
প্রশ্ন-৪. স্মার্টফোন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: স্মার্টফোন বলতে এক ধরনের সেলুলার ফোন বোঝায়, যা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হয়। এটির বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালানোর ক্ষমতা রয়েছে। সাধারণ ফিচার ফোনের সাথে এর পার্থক্য হলো তুলনামূলক শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ক্ষমতা এবং বিস্তৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এটি ফোনকল, ম্যাসেজিং এর পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মাল্টিমিডিয়া গেমস ইত্যাদি উচ্চতর সুবিধা প্রদান করে।
প্রশ্ন-৫. হার্ডওয়্যার কাকে বলে? উদাহরণ দাও। ১+১=২
উত্তর: কম্পিউটার বা এ সংশ্লিষ্ট ডিভাইস (যেমন- মোবাইল ফোন, ট্যাব ইত্যাদি) তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র সামগ্রীকে হার্ডওয়্যার বলে। অর্থাৎ ডিভাইস সংশ্লিষ্ট যে সমস্ত অংশগুলো আমরা দেখতে এবং হাতে স্পর্শ করতে পারি তাই হার্ডওয়্যার। যেমন- কম্পিউটারের মাউস, কী-বোর্ড, প্রিন্টার, প্রসেসর, র্যাম, মনিটর বা ডিসপ্লে ইত্যাদি দেখা যায় ও স্পর্শ করা যায়।
প্রশ্ন-৬. সফটওয়্যার কী? কত প্রকার ও কী কী? ১+১=২
উত্তর: সফটয়্যার হলো একধরনের নির্দেশনা বা নির্দেশাবলীর সমষ্টি, যা নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়। সফটওয়্যার কম্পিউটার বা ডিভাইসকে পরিচালনা করে এবং নির্দেশনা বা প্রোগ্রাম অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করে থাকে। সফটওয়্যার দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা- সিস্টেম সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
প্রশ্ন-৭. অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কেন তৈরি করা হয়? উত্তর: অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করার জন্য তৈরি করা হয়। আমাদের কম্পিউটার, মোবাইল ফোন বা ট্যাবে যে সমস্ত অ্যাপ রয়েছে, প্রত্যেকটি একটি করে সুনির্দিষ্ট কাজ করতে পারে। যেমন- ভিডিও দেখার জন্য বিভিন্ন ভিডিও প্লেয়ার, লেখালেখির কাজ করার জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন ব্রাউজার ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৮. পিনকোড কেন ব্যবহার করা হয়? ২
উত্তর: PIN-এর পূর্ণরূপ হলো- Personal Identification Number, যার বাংলা অর্থ ব্যক্তিগত শনাক্তকরণ নাম্বার। মুঠোফোনকে অননুমোদিত ব্যবহার থেকে রক্ষা করতে এর প্রকৃত ব্যবহারকারী পিন কোড দিয়ে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন ইলেকট্রনিক লেনদেন প্রক্রিয়া বা সিস্টেম, যেমন- এটিএম কার্ড, মোবাইলের সিম কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যবহারকারী যাচাইকরণে পিনকোড ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-৯. ডিজিটাল উপাত্ত কাকে বলে?২
উত্তর: যে পদ্ধতিতে ডিজিট বা অংক ব্যবহার করে গণনা করা হয়, তাই হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি। আর ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবহৃত উপাত্তসমূহকে ডিজিটাল উপাত্ত বলা হয়। এসব উপাত্ত কেবল বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি অর্থাৎ ০ এবং ১ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন-১০. অধিতথ্য বা মেটাডেটা কী? ২
উত্তর: অধিতথ্য বা মেটাডেটা হলো তথ্য সম্পর্কিত আরো তথ্য। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে 'মেটা' শব্দটির অর্থ হলো 'লুকোনো/মৌলিক বর্ণনা'। অর্থাৎ একটি তথ্য/ফাইলের নিজের সম্পর্কে বর্ণনা থাকে। মেটাডেটা কোনো তথ্যের সারমর্ম প্রদান করে, যার ফলে তথ্য ও উপাত্ত খুঁজতে এবং তাদের নিয়ে কাজ করতে সুবিধা হয়।
প্রশ্ন-১১. দেয়ালিকা বলতে কী বোঝ? ২
উত্তর: দেয়ালিকা হলো দেয়াল বা বিজ্ঞপ্তি বোর্ডে প্রকাশিত এক ধরনের সাময়িক পত্র। এর অপর নাম দেয়াল পত্রিকা। দেয়ালিকা প্রকাশের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। এটি মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক বা বার্ষিকও হতে পারে। সাধারণত বিভিন্ন স্কুল বা কলেজ বিভিন্ন উৎসবে শিক্ষার্থী বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণ দেয়ালিকার মাধ্যমে নিজেদের প্রবন্ধ, কবিতা, অঙ্কন এবং অন্যান্য রচনা প্রকাশ করতে পারে।
প্রশ্ন-১২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কী? কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম লেখো। ১+১=২
উত্তর: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো এক ধরনের ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে মানুষ বন্ধু তৈরির মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত একটি সামাজিক সম্প্রদায় তৈরি করে, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে এবং ছবি, ভিডিও ও বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মূলত অনলাইন নির্ভর হয়ে থাকে। বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হলো- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন প্রভৃতি।
প্রশ্ন-১৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়ানোর উপায় কী? ২
উত্তর: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি ইত্যাদি প্রকাশ করে থাকি। এসব তথ্য সামাজিক যোগাযোগ সাইটে রাখলে যে কেউ তা দেখতে পারে এবং অনুমতি ব্যতিত ব্যবহার করতে পারে। তাই আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধু নির্বাচন ও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত না করে পরিচিত মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
প্রশ্ন-১৪. ব্যক্তিগত তথ্য কাকে বলে? এর ধরন ব্যাখ্যা করো। ১+১=২
উত্তর: যেসব তথ্যের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির পরিচয় আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়, সেগুলোকে ব্যক্তিগত তথ্য বলে। ব্যক্তিগত তথ্যগুলো সাধারণত ব্যক্তির নিজের, পারিবারিক, পেশা বা জাতীয়তা সম্পর্কিত হয়ে থাকে। যেমন- কারো নাম, পিতা-মাতার নাম, স্বাক্ষর, ঠিকানা, ফোন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, জন্মতারিখ ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৫. পাসপোর্ট বলতে কী বোঝ?২
উত্তর: পাসপোর্ট-এর বাংলা অর্থ ভ্রমণ নথি। বিদেশ ভ্রমণের সরকারি অনুমতিপত্রকে পাসপোর্ট বলে। পাসপোর্টে ব্যক্তির সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে। পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমে একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়। সেই ফর্মে কিছু ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য প্রদান করতে হয়।
প্রশ্ন-১৬. ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও। ১+১=২ উত্তর: ডিজিটাল জগতে ফুটপ্রিন্ট তথা ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট বলতে ডিজিটাল জগতে কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি বা কার্যক্রমের ইতিহাসকে বোঝায়। যেমন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারকৃত ব্যক্তিগত তথ্য, মতামত, ছবি, বিভিন্ন ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্টে প্রদানকৃত ব্যক্তিগত তথ্য, ই-মেইল হলো ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
প্রশ্ন-১৭. কিশোর বাতায়ন কী? এর সুবিধাগুলো লেখো। উত্তর: কিশোর বাতায়ন হলো কিশোর-কিশোরীদের ব্যবহার উপযোগী একটি ওয়েবসাইট। কিশোর-কিশোরীদের জ্ঞানচর্চায় আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন বিষয় দিয়ে 'কিশোর বাতায়ন' ওয়েবসাইট সাজানো হয়েছে। দেশে যেকোনো প্রান্ত থেকে কিশোর কিশোরীরা http://konnect.edu.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একাডেমিক পাঠ, জীবন দক্ষতা অর্জন, প্রিয় লেখকের বই পড়ার সুযোগ, একাডেমিক অ্যাসাইনমেন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ পেয়ে থাকে।
প্রশ্ন-১৮. ডিজিটাল লিটারেসি কোর্সের উদ্দেশ্য কী? ২
উত্তর: ডিজিটাল লিটারেসি কোর্স হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের দক্ষতা অর্জনের একটি কোর্স বা প্রশিক্ষণ। এই কোর্সের মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ জনগণকে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে দক্ষ ও সচেতন করে তোলা। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কিশোর বাতায়নের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ডিজিটাল লিটারেসি কোর্সটি করতে পারে।
প্রশ্ন-১৯. নাগরিক পরিচয়পত্র কী? এর মাধ্যমে নাগরিকগণ কী সুবিধা ভোগ করে?১+১=২
উত্তর: নাগরিক পরিচয়পত্র হলো এক প্রকার প্রত্যয়ন পত্র যা একজন ব্যক্তির নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে। একে নাগরিক সনদপত্র বলা হয়। এটি এমন এক প্রামাণ্য দলিল যেখানে কোনো ব্যক্তি জন্মগতভাবে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে একটি দেশের নাগরিক কিনা সে সম্পর্কে উল্লেখ থাকে। নাগরিক পরিচয়পত্রের মাধ্যমে দেশের নাগরিক হিসেবে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার লাভ করে
প্রশ্ন-২০. জন্ম নিবন্ধন সনদ কী? উত্তর: একটি শিশু জন্মের পর পরই দেশের সরকারি খাতায় প্রথম নাম লেখানোর মাধ্যমে প্রাপ্ত সনদই হলো জন্ম নিবন্ধন সনদ। একটি শিশুর জন্ম নিজ দেশকে, বিশ্বকে আইনগতভাবে 'জানান দেয়ার পদ্ধতি হলো জন্মের পর জন্ম নিবন্ধন করা। একজন- নবজাতকের একটি নাম ও জাতীয়তা নিশ্চিত করতে এটি হচ্ছে প্রথম আইনগত ধাপ।
প্রশ্ন-২১. জিডি কী কী কারণে করা হয়? ২
উত্তর: জিডি একটি আইন সহায়তা, যা পেতে একটি লিখিত বিবরণ থানায় জমা দিতে হয়। বিভিন্ন কারণে জিডি করা হয়। যেমন- কেউ আমাদের ভয় দেখালে বা হুমকি দিলে যদি আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করি, তাহলে থানায় জিডি করতে পারি। হারানো জিনিস খুঁজে পেতেও জিডি সহায়তা করে। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজ বা ডকুমেন্ট (যেমন- নাগরিক সনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদ, বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সনদ ইত্যাদি) হারিয়ে গেলেও জিডি করা আবশ্যক।
অভিজ্ঞতা ৩
প্রশ্ন-১. নাগরিক সেবা কী? এর সুবিধাসমূহ লেখা।১+১=২
উত্তর: নাগরিক সেবা হলো রাষ্ট্র বা সরকার কর্তৃক তার নাগরিকদের প্রদান করা বিভিন্ন ধরনের সেবা। নাগরিক সেবার সুবিধাসমূহ হলো-
• শিক্ষা: রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা সেবার মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা এবং পেশাগত শিক্ষার সুবিধা।
• স্বাস্থ্যসেবা: রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে রয়েছে-প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপদ খাদ্য ও পানীয় সেবা।
প্রশ্ন-২. ই-কমার্স কী? ২
উত্তর: ই-কমার্সের পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক কমার্স। ইন্টারনেট ব্যবহার করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও অর্থ আদান-প্রদান করা হলো ই- কমার্স। ই-কমার্সের প্রসারের মাধ্যমে এখন ঘরে বসেই অনলাইন মাধ্যমে যেকোনো পণ্য বা সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে জীবন- যাপন অনেক সহজ হয়েছে। ই-কমার্সের ক্ষেত্রে পণ্য হাতে পাওয়ার পরে পণ্যর দাম পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন-৩. ওয়েবসাইট বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ওয়েবসাইট বলতে কোনো ওয়েব সার্ভারে রাখা ওয়েব পৃষ্ঠা, ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্যবহৃত ওয়েবসাইটটি হলো এনসিটিবি ওয়েবসাইট। এ ধরনের ওয়েবসাইট অসংখ্য ওয়েব পৃষ্ঠার সমন্বয়ে গঠিত হয়।
প্রশ্ন-৪. সরকারি নাগরিক সেবা কাকে বলে? উদাহরণ দাও। ১+১ = ২
উত্তর: জনসাধারণের সুবিধা ও কল্যাণের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় সংস্থা থেকে যে সেবাসমূহ পাওয়া যায়, তাকে সরকারি নাগরিক সেবা বলে। বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবা রয়েছে। যেমন- শিক্ষাসেবা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষিসেবা, আইন ও বিচারসেবা, সামাজিক সুরক্ষাসেবা, নাগরিক নিরাপত্তাসেবা, ভূমিসেবা ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৫. মোবাইল অ্যাপস কী? উদাহরণ দাও।১+১=২
উত্তর: মোবাইল অ্যাপ হলো এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। মোবাইল ডিভাইস (ফোন, ট্যাবলেট) ব্যবহার করার জন্য অ্যাপস খুবই প্রয়োজনীয়। মোবাইল অ্যাপস এর উদাহরণ- বিভিন্ন নাগরিক সেবার অ্যাপস, গুগল ম্যাপ, 365 Crop, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৬. ই-কমার্স পণ্য কী?
উত্তর: ইলেকট্রনিক কমার্সকে সংক্ষেপে ই-কমার্স বলে। ইন্টারনেট বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যম ব্যবহার করে যে সকল পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা হয়ে থাকে, ঐ সকল পণ্যই হলো ই-কমার্স পণ্য। যেমন- বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট 'দারাজ' থেকে যে সকল পণ্য কেনা হয়ে থাকে, সে সকল পণ্যই ই-কমার্স পণ্য।
প্রশ্ন-৭. ব্যবসায়ী বলতে কী বোঝ?২
উত্তর: 'ব্যবসায়ী' শব্দটি বলতে একজন প্রতিষ্ঠাতা; মালিক বা একটি বাণিজ্যিক উদ্যোগের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডারদের বোঝানো হয়। অর্থাৎ ব্যবসায়ী হলেন তিনি, যিনি একক বা যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা সরবরাহের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
প্রশ্ন-৮. ভোক্তা কী?২
উত্তর: ভোক্তা হলো কোনো ব্যক্তি, যিনি তার ব্যক্তিগত পছন্দ বা প্রয়োজনে পণ্যসামগ্রী বা সেবা ক্রয় করেন এবং তা ব্যবহার করেন। অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টি কোনো বিক্রেতা হতে পণ্য বা সেবা ক্রয় করে সেই পণ্য বা সেবা ব্যবহার করে তাদেরকে ভোক্তা বলে। এক কথায়, ভোক্তা হলো কোনও পণ্য বা পরিষেবার চূড়ান্ত ব্যবহারকারী।
প্রশ্ন-৯. টার্গেট গ্রুপ কাকে বলে?
কোনো নির্দিষ্ট দর্শক বা শ্রোতাকে উদ্দেশ্য করে মিডিয়ার মাধ্যমে কোনো কনটেন্ট যেমন লেখা, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি প্রচারিত হলে সেই নির্দিষ্ট দর্শক বা শ্রোতাকে লক্ষ্য দল বা টার্গেট গ্রুপ বলে।
প্রশ্ন-১০. TVC কী? ২
উত্তর: সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দেয়া হয়ে থাকে। এসব সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে কম সময়, স্বল্প মূল্য ও কম যোগাযোগ সাপেক্ষে দ্রুত সেবা প্রদান করাই হলো TVC। অর্থাৎ TVC বলতে বোঝায় Time, Cost এবং Visit সাপেক্ষে সেবা নেয়া।
প্রশ্ন-১১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ বা গ্রুপ কী? ২
উত্তর: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে মানুষ কম্পিউটার, স্মার্টফোন ইত্যাদি ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হয়ে একটি সামাজিক সম্প্রদায় তৈরি করে। এ সকল মাধ্যম ব্যবহার করে তৈরিকৃত পেজ বা গ্রুপকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ বা গ্রুপ বলে। যেমন- ফেসবুক পেজ বা ফেসবুক গ্রুপ।
প্রশ্ন-১২. ডিজিটাল পেমেন্ট বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ডিজিটাল পেমেন্ট বলতে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধকে বোঝায়। মূলত ডিজিটাল ডিভাইস বা চ্যানেল ব্যবহার করে এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াই হলো ডিজিটাল পেমেন্ট। যেমন- ব্যাংকের একাউন্ট থেকে অর্থ ট্রান্সফার, মোবাইল থেকে মানি ট্রান্সফার, QR কোড, ক্রেডিট, ডেবিট এবং প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৩. মোবাইল ব্যাংকিং কাকে বলে?২
উত্তর: মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্টের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার সুবিধাযুক্ত যে সেবা তাকেই মোবাইল ব্যাংকিং বলা হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকগণ তাদের সমস্ত আর্থিক লেনদেন একটি মুঠোফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারেন। এক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রচলিত ব্যাংক হিসাব খোলার কোনো প্রয়োজন পড়েনা। স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই গ্রাহক তার মোবাইল নাম্বারের বিপরীতে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে একটি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে পারেন।
প্রশ্ন-১৪. ভূমিকাভিনয় কী?২
উত্তর: যে পদ্ধতিতে কোনো নির্দিষ্ট ও উপযুক্ত পাঠ্য বিষয়বস্তুর শিখনফল অর্জন সহজতর করার উদ্দেশ্যে, কোনো বিষয়কে নাটক বা অভিনয়ের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় তাকে ভূমিকাভিনয় বলে। একঘেয়েমি দূর করে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বৈচিত্র্য আনার, জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি বহুকাল ধরে চালু রয়েছে, তারই একটি হলো ভূমিকাভিনয়।
প্রশ্ন-১৫. মেধাস্বত্ব কী? ২
উত্তর: মেধাস্বত্ব বা কপিরাইট বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিদ্যমান একটি আইনি অধিকার। এর মাধ্যমে কোনো মৌলিক সৃষ্টিকর্মের মূল স্রষ্টা ব্যতীত অন্য কোনো পক্ষ সেই সৃষ্টিকর্ম ব্যবহার করতে পারবে কি না, কিংবা কোন শর্তে উক্ত সৃষ্টিকর্ম ব্যবহার করতে পারবে তা নির্ধারণ করা হয়। এ সকল ব্যাপারে মূল স্রষ্টাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক ও অনন্য অধিকার প্রদান করাই মেধাস্বত্ব।
প্রশ্ন-১৭. সফটওয়্যার কী?
উত্তর: সফটওয়্যার হলো কম্পিউটার পরিচালনা এবং নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য কিছু ইনস্ট্রাকশন বা নির্দেশনার সমন্বয়ে গঠিত একটি সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম। সফটওয়্যার কম্পিউটারকে বলে দেয় যে কীভাবে কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন-১৮. এডোবি ইলাস্ট্রেটর কী?
উত্তর: এডোবি ইলাস্ট্রেটর হচ্ছে একটি ভেক্টর গ্রাফিক্স সম্পাদনাকারী সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটি তৈরি ও বাজারজাত করেছে এডোবি সিস্টেমস। এডোবির সব থেকে জনপ্রিয় সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটি একটি কপিরাইট সংরক্ষিত সফটওয়্যার, যা নির্ধারিত মূল্য দিয়ে ক্রয়ের পর কম্পিউটারে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে হয়।
প্রশ্ন-১৯. ক্যানভা কী?
উত্তর: ক্যানভা হচ্ছে অনলাইন বেজড গ্রাফিক্স ডিজাইন টুল, যার- মাধ্যমে খুব সহজেই গ্রাফিক্সের কাজ করা যায়। এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা ছাড়াও সরাসরি ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এটিতে অনেক পূর্বে থেকে তৈরি করা টেমপ্লেট রয়েছে, যা ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্ন-২০. ফ্রি সফটওয়্যার কাকে বলে?
উত্তর: যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে কোনো টাকা খরচ করতে হয় না সেগুলোই মূলত ফ্রি সফটওয়্যার। যেমন- গুগল ক্রোম, কেএম প্লেয়ার, পিকাসা ইত্যাদি। তবে ফ্রি সব সফটওয়্যার ওপেন সোর্স হয় না। অর্থাৎ এসব সফটওয়্যারের সোর্স কোড যে কেউ দেখার পাশাপাশি নিজের প্রয়োজন মতো পরিবর্তনে করতে পারেন না।
প্রশ্ন-২১. মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কাকে বলে?
উত্তর: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন উপকরণের পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট, মডেম ও স্পিকারের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। এ ধরনের শ্রেণিকক্ষকেই বলা হয় 'মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম'। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন- অল্প সময়ে অনেকগুলো মাধ্যম ব্যবহার করে তথ্য উপস্থাপন, পাঠকে বাস্তবতার নিরিখে উপস্থাপন, শিক্ষার্থীর শিখন স্থায়ী করা ইত্যাদি।
K.M MARUF AHMED
Assistant Teacher
Ar- Raiyan International School